বাংলাদেশ এবং ভারতের ৫০ বছর মৈত্রী সংলাপ শেষে দুই দে‌শের বিদ‌্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ  সম্পর্ক আরও জোরদার হ‌বে ব‌লে প্রত‌্যাশা ব‌্যক্ত ক‌রে‌ছেন উভয় দেশের নেতারা। একই স‌ঙ্গে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই অব‌্যাহত রাখার কথাও ব‌লে‌ছেন তারা।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রা‌তে ভারতের নয়াদিল্লিতে বৈঠকে নেতারা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। তারা উভয় দেশের বন্ধুত্বের উন্নয়নের জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে সবাই একমত হন।

দীর্ঘ আলোচনায় সবাই মনে করেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। বৈঠকে দুই দলের সম্পর্ক উন্নয়নে করনীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন তারা।

আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ভারতের বিজেপির ফরেন এফেয়ার্স এন্ড পলিসি সেল এর চেয়ারম্যান ডক্টর বিজয় চৌথাইওয়ালে এবং কোর কমিটির সদস্য শিশির বাজোরিয়া।

বৈঠকের বিষয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘ভারত আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ। আমরা পরস্পর উন্নয়ন সহযোগী। আজকের এ আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য আরও বলেন, ‘আমাদের আলোচনা ছিল অত্যন্ত গঠনমূলক। আমরা পরস্পরের উদ্বেগ ও অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে অবগত রয়েছি। দুই দলের নানা বিষয়ে আমাদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।’

এছাড়াও চলমান রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও ব্যবসা প্রসারের বিষয়ে কথা হয়েছে। মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অংশগ্রহণ করায় কৃতজ্ঞতা জানান নানক।

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় ভারত অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে এই বিষয়ে ফরেন এফেয়ার্স সেল যেন ভূমিকা পালন করে।’

বৈঠকের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিষয়েও কথা হয়েছে উল্লেখ করে নানক বলেন, ‘অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের বর্তমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি খুবই ভালো অবস্থানে আছে। দেশে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ কিংবা চরমপন্থা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ নেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অব্যাহত থাকবে।’

বৈঠক শেষে জাহাঙ্গীর কবির নানক বিজেপির নেতৃবৃন্দদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তারা অতি শিগগিরই বাংলাদেশে সফরে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।